Friday, 17 November 2023

বৃদ্ধাশ্রম নির্বাচন করার পদ্ধতি

বৃদ্ধাশ্রম নির্বাচন করার পদ্ধতি

 

www.thikanashimla.in

www.seniorcitizenhome.blogspot.in

 

১। অবস্থান -আপনার বাড়ির আত্মীয়স্বজন বন্ধু বান্ধব পরিচিতদের বাড়ি থেকে কতটা দূরে।

২। পরিবেশ -প্রবীদের নিরিবিলি জায়গায় থাকা বাঞ্ছনীয় যেখানে শব্দ-ধোঁয়া-ধূলো দূষণের প্রকোপ কম।

৩। জায়গা - বৃদ্ধাশ্রমটি শুধু একটা বাড়ি না তার চৌহদ্দির মধ্যে ঘোরাফেরার জায়গা আছে, বাগান আছে। বৃদ্ধাশ্রমের মধ্যে সাধারনের জায়গা যেমন কমন ডাইনিং রুম, কমিউনিটি হল বা লাউঞ্চ, প্লে রুম, মন্দির/ মাসজিদ/ গির্জা/ মেডিটেশন রুম আছে কিনা।

৪। বসবাসের ঘর - বসবাসের ঘরের অবস্থান কিরকম – খোলামেলা, বড় জানালা, ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে হাওয়া খেলে কিনা, ছাদ নিচু কিনা, ঘরের রং নতুন এবং চোখের পক্ষে সহনশীল কিনা, এসি-পাখার অবস্থান এবং তার থেকে উপযুক্ত পরিমান হাওয়া হয় কিনা বিবেচ্য। বাথরুমের পরিসর কতটা, কমোড, হ্যান্ড শাওয়ার, গ্র্যাব বার আছে কিনা।

৫। আপৎকালীন চিকিৎসা ব্যবস্থা - হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে নিজস্ব প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আছে কিনা। তৎক্ষনাৎ ডাক্তার পাওয়া যাবে কিনা। ভেতরেই ডাক্তারের ব্যবস্থা আছে কিনা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাদি কিরূপ।

৬। নিয়মিত হেলথ চেক আপ - কোন নির্দিষ্ট সময় অন্তর হেলথ চেক আপ হয় কিনা।

৭। হাসপাতালে ভর্তি - হাসপাতালে ভর্তি করা, হাসপাতালে ভর্তি থাকা কালীন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাদির দায়িত্ব কর্তৃপক্ষ নেয় না আত্মীয়স্বজনকে ফোন করে তার হাতে তুলে দেয়। হাসপাতাল থেকে ফেরত আসার পর যত্নাদির (Post Hospital Care) দায়িত্ব কর্তৃপক্ষ নেয় কিনা।

৮। রিসেপশন -প্রথম দিন আপনার রিসেপশন কি ভাবে হল – চা দেওয়া হল কিনা। কোন ধরণের পদমর্যাদার লোক আপনার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। নির্দিষ্ট অফিস আছে কিনা, আপনার প্রশ্নের যথাযথ উত্তর পাচ্ছেন কিনা। আচরণ শীতল না উষ্ণ।

৯। শর্তাদি -কি কি শর্ত আরোপিত হচ্ছে তার কোন বিশদ লিখিত বিবরণ চাইলে পাওয়া যায় কিনা।

১০। আগাম টাকা - আগাম টাকা আছে কিনা। থাকলে তার পরিমান। সেটা ডিপোজিট না ডোনেশন। ডিপোজিট হলে তার ফেরত পদ্ধতি কি।

১১। মাসিক খরচ - মাসিক খরচ কত। সেই খরচে কি কি পরিষেবা পাওয়া যাবে। খরচ বৃদ্ধির পদ্ধতি কি কি।

১২। লুকানো খরচ - কাচাকুচি, ইলেকট্রিক বিল, আয়া, ঘর মোছা, বাথরুম পরিষ্কার এই ধনের লুকোনো খরচ পরে যুক্ত হবে কিনা।

১৩। এগ্রিমেন্ট - কোন লিখিত এগ্রিমেন্ট হবে কিনা।

১৪। খাবার দাবার - খাবারের মান কিরূপ। খাবার কতবার দেওয়া হয়। খাবার অপরিমিত না রেশন পদ্ধতি। খরচের বিনিময় আলাদা খাবার পাওয়া যায় কিনা।

১৫। সাক্ষাৎকার -   বাড়ীর আত্মীয়স্বজন আসলে সাক্ষাকারের পদ্ধতি কিরূপ। তাঁদের রাত্রি বাসের জন্য গেস্ট রুম আছে কিনা। তাঁদের ঘরে আমন্ত্রণ জানানো যায় কিনা।

১৬। পরিদর্শ - হোমের ভেতর ঘুরে দেখতে চাইলে তার অনুমতি দেওয়া হয় কিনা।

১৭। আবাসিকদের সাথে সাক্ষাৎ - অনুমতি আছে কি না। সাক্ষা এর সময় কতৃপক্ষের লোক পাশে দাঁড়িয়ে আছে কিনা।

১৮। কিছুদিন পরীক্ষামূলক থাকা - অন্ততঃ দু একটা দিন খরচের বিনিময় পরীক্ষামূলক থাকার ব্যবস্থা আছে কিনা।

১৯। বিনোদন - বিনোদনের কি কি ব্যবস্থা আছে।

২০। লোডশেডিং - বিদ্যুৎ এর আলাদা ব্যবস্থা আছে কি না।

২১। কর্তৃপক্ষ - হোমটি কারা চালাচ্ছেন। কোন ব্যক্তিগত ব্যবসা, না কোম্পানি, না এন জি ও। কর্তৃপক্ষ কারা।

২২। প্রয়োজনীয় অনুমোদন -  হোমটি চালানোর জন্য কি কি লাইসেন্স আছে।

২৩। রান্না ঘর -  হোমের রান্নাঘরটি কেমন ও যাঁরা রান্না করছেন তাঁদের পোষাক পরিচ্ছন্নতা কেমন।

 

আবাসিকদের সাথে সাক্ষা-এর সময় প্রয়োজনীয় জিঞ্জাস্য কুশল বিনিম, পরিচয় প্রদান ও প্রশ্নের উদ্দেশ্য ব্যক্ত করুন প্রথমে।

 

প্রশ্নাদি-

১। খাওয়া-দাওয়া-মান, পরিমাণ, সময় ইত্যাদি।

২। কতৃপক্ষের ও কর্মীদের আচার আচরন।

৩। ইলেকট্রিক খরচ – প্রয়োজনে এসি, রুম হিটার ইত্যাদি লাগানো যাবে কিনা।

৪। চিকিৎসা ব্যবস্থা।

৫। লুকোনো খরচ।

৬। বাইরের ডাক্তার দেখানোর ব্যবস্থা।

৭। এগ্রিমেন্ট।

৮। টাকা ফেরত দেওয়ার ইতিহাস।

 

 

 

Sunday, 3 June 2018

Retirement Homes Offer No Peace for Seniors


Retirement Homes Offer No Peace for Seniors




Regulation required to stop the harassment of those who have invested in retirement homes 

Once again, it is probably the judiciary that may come to the rescue of senior citizens who have invested their nest egg in retirement homes and end up fighting bitter battles with developers instead of the restful luxury they expected in their golden years. S Krishnamoorthy, an 80-year old air-force veteran, has filed a public interest litigation (PIL) asking the high court to direct the Tamil Nadu government to set up a specific regulatory authority to for senior citizens’ homes in the state. At the first hearing in September, a two-member bench, comprising Chief Justice Sanjay Kishan Kaul and Justice TS Sivagnanam, was sympathetic to his plea, despite a sketchy petition and directed the state government to file a proper response by 24th November. Irrespective of what happens in the case, there is no doubt that the senior citizens, who invest their hard-earned money for proper accommodation and facilities (in these private projects), are not made to run from pillar to post to get the services they were promised. 
 
Retirement homes are a niche new real estate market segment that has grown steadily over the past two decades by promising well-to-do Indians all their needs in old age – food, house-keeping, laundry, healthcare facilities, recreation and companionship of people of their age group. But the reality is often vastly different. Services and maintenance standards decline, costs escalate and the terms of the original agreement are changed with no recourse to the senior residents. Mr Krishnamoorthy’s petition arises out of his own experience and the tribulations of other senior citizens who opted to live in retirement homes that have mushroomed around the picturesque Coimbatore region of Tamil Nadu.
 
Is it enough for the Tamil Nadu government to create a regulatory framework for the state alone? With changing demographics, higher income in the hands of seniors, security concerns and the paucity of domestic help, well-run and regulated retirement homes and townships will be essential for future generations. In many cases, it will be the only way to ensure that a secure environment, companionship, nutritious food and geriatric care or medical assistance is available on a daily basis for those who can afford it.
 
It is the government’s responsibility to remove the regulatory vacuum in which retirement homes operate and put in place a clear framework to decide who can set up retirement homes, ensure fair and transparent contracts with seniors, proper supervision and swift grievance redress. This will require the ministry of social justice and empowerment to work with the finance ministry to put in place effective regulation. Unfortunately, this is easier said than done in a country where the National Policy for Older Persons (NPOP), framed in 1999, has yet to be properly implemented and we have no real estate regulator so far, because of the industry is controlled by land sharks and politicians.
 
Seniors will also have to face up to the reality that the concerns of well-to-do people are not a priority for any government. Even NGOs working in this sector are, correctly, engaged in mitigating far greater hardships and travails faced by the poor, destitute, infirm and abandoned seniors. While the Madras High Court has taken cognisance of Mr Krishnamoorthy’s plea, real change will require a proper framing of issues and advocacy at the national level with the appropriate ministries or even a class-action suit. Here are some of the issues that need thinking and clarity while framing such a policy. 
 
1. Who Can Set Up a Retirement Township/Homes: Unlike old-age homes that are run by charitable organisations, retirement townships are for senior citizens who can afford a certain lifestyle and amenities and are willing to pay for them. It requires deeper pockets and cannot be set up by charitable organisations/NGOs or as a family enterprise. Although realty is a state subject, the process of granting clearances to set up retirement homes and townships needs to have a national regulatory framework, under the ministry of social welfare. These should only be permitted when basics, such as access to specialised medical care, are available at a reasonable distance and security, access and communication are in place.
 
2. Minimum Assurance of Services: Regulations should specify the basic minimum services (security, food, housekeeping, laundry, maintenance and basic medical facilities, as well as recreation and exercise facilities run by appropriately trained and supervised staff) that need to be in place to set up a retirement project.  Decisions regarding the selection of service-providers, supervision, audit of expenses and cost escalation must be through a management structure that has adequate representation from residents, chosen through an election process. 
 
Anyone setting up a retirement home must be able to commit specified minimum capital to be able to ensure maintain and all the promised services for at least five years. There are plenty of documented cases where seniors have had a harrowing time because of poor catering, laundry or housekeeping services and the promised medical facilities and basic check-ups, which used to lure seniors, are quickly shut down. On the flip side, seniors will have to be prepared to maintain deposits to meet their monthly payouts and to cover emergencies and contingencies.
 
3. Structure of Agreements: Ideally, seniors must be able lease rooms or apartments in such townships with provisions for deposits (refundable and non-refundable components) with monthly payments for food, maintenance and other costs. India has a few well-run retirement homes on outright purchase but they are an exception. In several retirement homes around Coimbatore, retirement complexes have been set up by families but are positioned as not-for-profit societies. The apartments are given out on 20-year lease agreements, renewable for another 20 years. While the terms were well thought out on paper and seemed to ensure lifetime security for a senior, it turned out that these entities were not registered, making the lease agreement itself legally tenuous. Escalating land prices worked to the advantage of the promoters who were able to nudge tenants to leave through unreasonable escalation of monthly charges or poor service. The apartments were then leased again at higher rates. Several seniors caught in such a trap have filed a court case, but the judicial system in India is a slow and expensive grind. 
 
4. Costs, Supervision, Accountability, Audit & Redress: One retirement home in Tamil Nadu has forced at least 10 seniors to file lawsuits after they were threatened with eviction or being denied food and services, when things turned seriously acrimonious. Only a proper regulatory framework will ensure that seniors do not become the victims of such dirty tricks, instead of the peaceful retirement that they paid and signed up for and that residents’ representatives have access to accounts to ensure that cost escalation is fair and reasonable. 
 
5. Exit Option: The government must ensure that no senior is trapped into retirement homes by ensuring that there is a clear exit option in each contract. Ideally, retirement homes must only have a lease and deposit arrangement because of the high cost and restrictions of selling property in a retirement township. 
 
Putting in place a regulatory framework for retirement homes is not a very difficult task, since most developed countries have already been through this phase of development where seniors in nuclear families felt the need to move to retirement homes for the benefits they provide. In fact, this is a $260 billion industry in the US and growing; if run well, it will be an important market in India too. Pushing the government to set up an appropriate framework needs advocacy from influential seniors, to make it happen. No one else is likely to do the job for them. 
 
(Sucheta Dalal is the managing editor of Moneylife. She was awarded the Padma Shri in 2006 for her outstanding contribution to journalism. She can be reached at sucheta@moneylife.in)

https://www.moneylife.in/article/retirement-homes-offer-no-peace-for-seniors/43783.html

Tuesday, 28 November 2017

প্রবীণদের চিকিৎসা সহ সেবা যত্ন সম্পর্কে সাধারণ কিছু কথা

এবারে আসুন প্রবীণদের সেবা নিয়ে কিছু আলোচনা সেরে নাওয়া যাক। বড়সড় কোন অসুখ যেমন, হার্ট, কিডনী ইত্যাদির অসুখ না থাকলে প্রবীণরা সাধারনতঃ ডায়াবেটিস, বাত, হাই প্রেশারে ভোগেন। বেশীরভাগ প্রবীণেরা বিশ্রাম প্রবণ - সারাদিন বিছানাকেই সঙ্গী করেন - ব্যয়াম বা কর্মে বিমুখ হন। তার জন্য তাঁরা বিভিন্ন ব্যথা, নিদ্রাহীণতায় ভোগেন। তার সাথে যোগ হয় অবসাদ। এছাড়া অনেকেই কমবেশী স্মৃতিভ্রংশ, অসংলগ্ন কথাবার্তা ও আচরণ এবং প্রস্রাবের সংযমহীণতায় ভোগেন। এই সব সমস্যাগুলি যখন ফ্ল্যাট বা বাড়ির ছোট্ট চৌহদ্দীর মধ্যে ঘটে তখন বাড়ির অন্যান্য মানুষেরা বিরক্ত হন এবং তা দেখে প্রবীণ মানুষটি আরো বেশী অবসাদে ভুগতে থাকেন। বিশেষ কোন অসুখ না থাকাতেও তিনি আস্তে আস্তে বিছানায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন এবং মৃত্যুকে কাছে ডেকে আনেন।
একজন প্রবীণ মানুষ যতই অসংলগ্ন কথাবার্তা বলুনই না কেন, তিনি কথা বলতে বা মানুষের সান্নিধ্য পছন্দ করেন। পরিবারের প্রত্যেককেই কোন না কোন কাজে ব্যস্ত থাকার দরুন, তার জন্য সেই সময়টুকু ব্যয় করতে অপারগ হন। আয়া রাখা হলে তারা যন্ত্রের মত কাজ করেন, কিন্তু ওই প্রবীণ মানুষটির মনের কাজটা করেন না, বা জানেন না, অর্থাৎ তাঁর সাথে গল্প করা বা সাহচর্য দেওয়া ইত্যাদি করেন না - বরং বিরক্ত হন
প্রবীণ মানুষদের বিছানায় প্রস্রাব করা ভীষণরকম স্বাভাবিক। কেউ কেউ পায়খানাও করে ফেলেন। কিন্তু যিনি তাঁর সেবা যত্ন করেন, বারে বারে তার জামা-কাপড় বদলাতে হলে বিরক্ত হন।
প্রবীণ মানুষদের কলকব্জাগুলি কমজোরী হয়ে যাওয়াতে ইমিউনিটি পাওয়ার কমে যায়, ফলে ঘন ঘন সঙ্ক্রমণে ভোগেন। সঙ্ক্রমণের প্রধান জায়গাগুলি হল বুক বা লাংস, মূত্রথলী ও পেট। প্রবীণদের সঙ্ক্রমন হয় বড় নিঃশব্দে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এগুলো এড়ানো যায়।
যত না বাতের ব্যথা, তার থেকে বেশী ব্যথা হয়, হাঁটা চলায়, কাজে বিমুখতা থেকে - শুধু বিছানায় শুয়ে থেকেপ্রবীণ মানুষদের হাঁটতে বললে বা ব্যয়াম করতে বললে অসম্ভব রেগে যান – শুধুই বিছানায় শুয়ে পড়তে চান – তার ওপর যদি একটু ভারী ওজনের হন, তাহলে তো কথাই নেই। ব্যথা বেদনার জন্য ডাক্তার দেখালে তিনি ফিজিওথেরাপিস্টের শরণাপন্ন হতে বলেন। তার মানে একেকটা সিটিংএ ২০০-২৫০ টাকা। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই বাড়ির কেউ বা আয়া একটু দেখে নিলেই এই খরচটা বাঁচাতে পারেন। একটু আধটু হাঁটানো, একটু ব্যয়াম, একটু ম্যাসাজ করাতে পারলেই হয়। আয়ারা এসব ক্ষেত্রে এড়িয়ে যান। তবে বিশেষ বিশষ ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপিস্টের প্রয়োজন অবশ্যই হয়। তাহলে এবার হিসাব করুনঃ দু বেলা আয়া, মানে কমপক্ষে ২০০ x ২ = ৪০০ এবং ফিজিওথেরাপিস্টের জন্য আরো ২০০, মোট ৬০০ টাকা ঘরে থেকেও খরচ। তার ওপর চিন্তা থাকে আজ আয়া আসবে তো।
এর পর আরেকটা ভয়জনক জিনিষ হল, পড়ে যাওয়া। যেহেতু প্রবীণদের ভারসাম্য অনেক কমে যায়, তাই তাঁদের পড়ে যাওয়ার প্রবণতাও বেশী। প্রবীণদের হাড়ের ঘনত্ব ক্রমশঃ পাতলা হতে থাকার দরুণ ভঙ্গুর হয়ে ওঠে। সাহায্যকারীকে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে যাতে তিনি পড়ে না যান। পড়ে গেলে সাধারনতঃ পায়ের বড় হাড়টা (ফিমার) ভাঙ্গে, ফলে সারানোর জন্য তাঁকে ছয় মাস বিছানায় শুয়ে পড়ে থাকতে হয়। সুতরাং সব সময় সতর্ক থাকতে হয়।
অনেক প্রবীণ ধীরে ধীরে খিটখিটে হয়ে ওঠেন, গালাগালি দেন, মারধর করেন, থুতু ছেটান, খাওয়া নিয়ে বায়না করেন। এরাঁ ইচ্ছার বিরুদ্ধে গেলেই সাহায্যকারীকে মারধর করেন। যে বাড়িতে এরকম ঘটে সে বাড়িতে আয়া কাজ করতে চায় না। এই সব প্রবীণেরা শিশুদের মত আচরণ করেন – নিজেদের বোধে করেন না। সাহায্যকারীদের এই বোধটুকু থাকলেই এই ধরণের প্রবীণদের হ্যান্ডেল করা সহজ হয়ে ওঠে।
সবার উপরে আসল কথা হল, একটু ভালোবাসা, একটু আন্তরিক ব্যবহার, একটু সাহচর্য। এর সাথে দরকার হয় একটু আনন্দ দান করার ব্যবস্থা। শুধু মাত্র টিভি দেখা নয় (অনেক প্রবীণ টিভি দেখতে ভালোবাসেন না), একটু আধটু গান বাজনা (লাইভ) শোনানো, বাইরে একটু ঘুরিয়ে নিয়ে আসা, খবরের কাগজ পড়া অভ্যাস করানো ইত্যাদি। তাহলেই ওই মানুষটা আরো কিছুদিন বেশী বাঁচেন। বাঁচেন তৃপ্তির সাথে।
একজন প্রবীণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যখন এই ধারা পালন করা হয়, তখন তিনি ধীরে ধীরে জীবনীশক্তি ফিরে পেতে থাকেন। ওষুধের উপর নির্ভরতা কমতে থাকে, অর্থাৎ ওষুধ খরচ কমতে থাকে। সঠিক খাবার, নিয়মিত প্রেশার, সুগার ইত্যাদি মনিটর করলে হঠাৎ বিপদ এড়ানো যায়। আর তার প্রতিফলন ঘটে মাসিক ওষুধের বিলে –মাসের নিয়মিত খরচ কমে যায়।
ওপরের কথাগুলি কোন বই থেকে নেওয়া নয়, দীর্ঘ আট বছরের অভিজ্ঞতা থেকে একটু একটু করে শেখা। কমিউনিটি লিভিং-এ এই ব্যবস্থাগুলো একসাথে করলে মাথাপিছু খরচ কমে যায়। তার সাথে আরো একটা বিশেষ উপকার হয়। সেটা হল, একসাথে অনেক সমবয়স্ক মানুষ বাস করার জন্য তাদের মধ্যে আর একাকীত্ব গড়ে ওঠে না – অবসাদ অনেকটা দূর হয়।
প্রবীণ মানুষদের জীবনধারণকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়ঃ ১) ফ্রি লিভিং, মানে যার দৈনন্দিন কাজ কর্ম (স্নান, পায়খানা, জামা কাপড় পড়া, খাওয়া ইত্যাদি) করতে কারো কোন সাহায্য লাগে না; ২) অ্যাসিস্টেড লিভিং, মানে যার দৈনন্দিন কাজে অন্যের সাহায্য লাগে। এটা আবার দু ভাগে ভাগ করা যায়ঃ ২ক)পার্শিয়াল, মানে একটু সাহায্য করলেই তিনি বাথরুমে যেতে পারেন, নিজে হাতে খেতে পারেন, কোন কিছুর সাহায্য নিয়ে হাঁটতে পারেন; ২খ)কম্পলিট, মানে যিনি চলৎশক্তিবিহীন, মলমূত্র বিছানাতেই ত্যাগ করেন, অন্যকে খাইয়ে দিতে হয়।
আমরা অ্যাসিস্টেড লিভিং (পার্শিয়াল ও কম্পলিট) করেন এমন মানুষদের নিয়েই কাজ করিবেশীরভাগ হোমগুলি শুধুমাত্র সুস্থ প্রবীণ রাখতে চায়, চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে চায়্ না। কমিউনিটি লিভিং-এর মাধ্যমে রেখে বাড়ীতে রাখার থেকে অনেক কম খরচে ভালো রাখতে পারিতার প্রমান পেতে যেসব আবাসিকরা এখানে আছেন তাদের পরিবারের সাথে কথা বলুন নিজে এসে চোখে দেখলেও খানিকটা অনুভব করতে পারবেন বৈকি। আসার সময় সাথে নিয়ে আসবেন প্রবীণ মানুষদের জন্য একটা সহানুভূতিশীল মন। আমরাও তো প্রবীণ হব, তাই নয় কি।  

   


Thursday, 16 November 2017

বৃদ্ধাশ্রমের বর্তমান ও ভবিষ্যত

বৃদ্ধাশ্রমের বর্তমান ভবিষ্যত

(এই লেখায় ‘প্রবীণ’ বলতে দুই লিঙ্গকেই বোঝান হয়েছে)

ভারতবর্ষে সামজিকভাবে বৃদ্ধাশ্রমের ধারণা নেতিবাচক। যাঁরা বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারকে হীন চোখে দেখা হয়। নচিকেতার জনপ্রিয় গানটি এই নেতিবাচক চিন্তা থেকেই। যাঁরা এই গানটিকে বাহবা দেন তাঁরা প্রবীণদের পরিসঙ্খ্যান নিয়ে মাথা ঘামান না। সুতরাং পরিসঙ্খ্যান নিয়ে কিছু আলোচনা করে নেওয়া যাক। শেষ জনগনণা (২০১১)অনুসারে ভারতে প্রবীণদের (৬০ বছরের উপর) শতকরা সঙ্খ্যা ৮.৬% (১০ কোটি ৪০ লক্ষ), যা ২০৫০ সালে হবে ২০% (২৯ কোটি ৬৬ লক্ষ)। দেখা যাচ্ছে যে, সাধারণ জনসঙ্খ্যার তুলনায় প্রবীণদের জনসঙ্খ্যা অনেক দ্রুত তালে বাড়ছে। ১৯৭০ সালে যেখানে মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪৮ বছর, সেখানে ২০১১ সালের পরিসঙ্খ্যান অনুসারে তা দাঁড়িয়েছে ৬৭ বছর। এর প্রধান কারণগুলি হলঃ শিক্ষার ক্রমবর্ধমান হার, গড় আয়ের বৃদ্ধি, চিকিৎসা বিজ্ঞাণের উন্নতি। তাহলে দেখা যাচ্ছে, কর্মী মানুষের সঙ্খ্যা কমছে আর নির্ভরশীল মানুষের সঙ্খ্যা বাড়ছে। এখন প্রত্যেকটি পরিবারই অণু পরিবার এবং মোটামুটি ৩১% পরিবারে ১-২ জন প্রবীণ বসবাস করেন। ১২% প্রবীণ একাকী বাস করেন এবং ১৯% প্রবীণ স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে বাস করেন। ৬৫% প্রবীণকে কোন না কোন ভাবে অন্যের ওপর নির্ভর করতে হয়।

সামাজিকভাবে এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে একজন প্রবীণের সাহায্য বা সেবাসুশ্রুষা করার জন্য পরিবারের সদস্যদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়, ফলে বাইরে থেকে লোক খুঁজতে হয়, যা অর্থনৈতিকভাবে পরিবারে পক্ষে বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলিতে সাধারনতঃ সরকারই প্রবীণ মানুষদের দেখভাল করে হোমে রেখে। প্রবীণ মানুষদের দুভাবে দেখভাল করা যায়ঃ ১) কোন হোমে (old age home) রেখে, ২) বাড়িতে গিয়ে পরিষেবা (house service)দিয়ে। দ্বিতীয় পরিষেবাটি দু একটি মেট্রো শহরে সবে শুরু হয়েছে। ভারতে দু রকম হোম দেখা যায়। একটি সরকার পরিপোষিত ফ্রি হোম, যা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই অল্প। আর আছে টাকার বিনিময়ে থাকার ব্যবস্থা। সর্বভারতীয়ভাবে এখনও পর্যন্ত হোম বানানোর কোন রূপরেখা তৈরী হয় নি, যার জন্য কোন মাপকাঠির তোয়াক্কা না করেই আনাচে কানাচে হোম গজিয়ে উঠছে।

যাই হোক না কেন, আজ আমাদের দেশেও হোমের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য হয়ে উঠছে। এমন একদিন আসবে যেদিন প্রত্যেক প্রবীণ মানুষকেই হয় হোমে যেতে হবে, না হয় হাউস সার্ভিস পরিষেবা কিনতে হবে। হোমে থাকা অর্থাৎ কমিউনিটি লিভিং-এ থাকার অনেকগুলো সুফল আছে। একসাথে অনেক সমবয়স্ক মানুষ বাস করলে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভাল থাকে, বাড়িতে রাখার থেকে খরচ অনেক কম হয়, বাড়ির উপার্জনকারী মানুষেরা নিশিন্ত থাকতে পারেন। তবে এই শর্তে যে, হোমটির যেন একটি নির্দিষ্ট মান থাকে এবং বিজ্ঞান সম্মতভাবে পরিচালিত হয়।  

এছাড়াও প্রবীণ মানুষদের বাসস্থান নিয়ে আরো প্রয়োজন তৈরী হয়। সেটা হল সাময়িক বসবাসের (respite care home) জন্য। ধরূন, পরিবাররের সদস্যদের কোন কারণে একসাথে বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে, অথচ বাড়িতে অসুস্থ প্রবীণ থাকার জন্য যেতে পারছেন না; এমতাবস্থায়, স্বল্পকালীন সময়ের জন্য কোন হোমে রাখা যেতে পারে। এরকম ব্যবস্থা পশ্চিমবাংলায় নেই বললেই চলে। এছাড়াও অনেক একাকী প্রবীণকে চিকিৎসার জন্য বা সেবাসুশ্রুষার জন্য অন্যের সাহায্য নিতে হয়। এরকম অবস্থায় পেশাদারদের সাহায্য নেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু ভারতে কিছুদিনের জন্য হোমে রেখে চিকিৎসা করার ব্যবস্থা অপ্রতুল। প্রবীণ মানসিক প্রতিবন্ধী, শারিরীক প্রতিবন্ধী, ডিমেন্সিয়া, বিছানায় শয্যাশায়ী প্রবীণদেরও (hospice) রাখার জায়গা সত্যি সত্যি নেই বললেই চলে। যাদের বাড়িতে এই ধরণের রোগী আছে তাঁরা বোঝেন যে এর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, এখনকার সামাজিক কাঠামোতে প্রবীণদের আবাসনের কত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এবং এটি সমাজের বাইরে নয়। আজকে যিনি মুখ বেঁকাচ্ছেন, কাল তাঁরই না প্রয়োজন হয়ে পড়ে।


Tuesday, 20 June 2017

No Country For Old People: Why Is Young India Abandoning The Elderly?

Posted by Munawar Hussain in Youth Ki Awaaz
June 18, 2017


Have you noticed the growth of sky-rocketing walls, embroidered with pointed glass sheets in your neighborhood? Mine is a great reflection of that. Giant barricades are built to limit the trajectory of eyes and limbs of the passersby. Evidently, this fact can be corroborated by using the street view feature of Google Maps. Also, that IGI trademark surveillance camera installed on one of the pillars of the gate. Once, I eyed it for a few minutes, for a while it remained still and then, possibly, annoyed by my staring, it raised an alarm and I had to run with my tail between my legs. Wait, no one can evade the presence of a watchman who is fed with a specific database of humans and is strongly advised to kick the butt of a living organism who doesn’t match the database entries.
Initially, this way of life was exclusive to urban societies, but with the population explosion in urban areas, followed by quantum relocation of urban populace to rural dwellings, the paradigm of social disconnection, alienation, and absence of human connection have travelled to the rural areas.
In Kashmiri architecture is undergoing significant change. The masons working on new houses are directed to construct walls, the bigger the better. House-owners do it to isolate themselves from the surroundings thereby disrupting the whole web of societal connection and contributing towards the creation of artificial human society.
Robert W. Service says: “I have an intense dislike for artificial society. In France, one could lead a free life, do what one wanted to do without interference or criticism from one’s neighbors.”
Playing with a naturally regulated system will have its own ramifications. This isolation from the neighborhood setup has given birth to an entirely new disaster. Meanwhile, in India, the trend of abandoning one’s parents has seen a significant spike. Parents are left out on their own, while their children either get relocated to another country or they totally disown their parents. In most cases, grandparents, no longer competent to earn a livelihood face psychological and financial troubles. They have nobody to look after them and in these circumstances, a complete disconnection from the neighborhood worsens their situation. Instantly, after getting married, the youth of this generation dissociate themselves from their parents, leaving them alone and vulnerable.  
A few months back, in the Nigeen area of Srinagar city, close to the famous Hazratbal shrine, a houseboy recovered a dead body of septuagenarian lady in a lavish mansion. He had gone on a vacation and when he came back to apprise the house-owner about his presence, he found her dead in the living room. Panicked by the untimely death of his employer, he rushed to the neighbors and informed them about the incident. The postmortem examination revealed that she had been dead for several days. That old lady, the mother of two doctors who run their practice in America, embraced a silent death. Had she been in good terms with her neighbors, she could possibly have avoided the tragic death.
Incidents like these should remind our civilised citizens that they need to take care of their parents, or at least build old-age homes for them. According to government reports the number of senior citizens in India is growing and close to 113 million people crossed the age of 60 in 2016. If these reports are any indication, a sizable number of seniors are in the need of old-age homes today.
Mathew Cherian, chief executive of HelpAge India says, “earlier people lived with their children when they were too old to work, but society is no longer parent-oriented and the rising trend we notice is that the elderly are moving out of their homes to places that cater to their needs, but there aren’t enough old-age homes in India to house all the abandoned elderly people.”
The central and state governments together, upon taking notice of this growing issue have launched various schemes to support the senior citizens who are left alone in their retirement days. Schemes like Integrated Programme For Old Person (IPOP) initiated by Ministry of Social Justice and Empowerment provide basic amenities like shelter, food, medical care and entertainment opportunities is acting as a panacea for the problems faced by the elderlies. The scheme also assists financially, and citizens of Jammu and Kashmir, Sikkim and all of North East can increase the aid up to 95%. Also, the initiatives started by Ministry of Rural Development, Ministry of Health and Family Welfare, and Ministry Of Finance are lending support to old citizens. Though these schemes are potentially uplifting the morale of senior citizens, this problem can only be solved, if the younger generation is constantly counselled to be with their parents, especially when they need them.
The memory of their parents providing them with decent food even if they had to hungry to be able to afford that, should be enough for those ungrateful youngsters who abandon their parents.
Richard A. Gardner, who wrote a book titled “The Parental Alienation Syndrome” said, “Only terminate your relationship with your parents in the most extreme of circumstances and only then after careful counselling and guidance from a professional.”